গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক
বাংলা অঞ্চলের আদিমতম গাছ বট। এই গাছের গুনাগুন ও ঐতিহ্যের জন্য ভারতের জাতীয় মর্যাদা পায় বটগাছ। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গালি জেলায় মিরজা টাউনের কাছে ‘ভোসে’ গ্রাম। গ্রামের ঐতিহ্য ও ‘ইয়ালাম্মা’ দেবীর মন্দিরের সাথে জড়িয়ে আছে ৪০০ বছরের পুরানো একটি বটগাছ। কিছু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে, রাস্তা বানানোর জন্য গাছটি কাটার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, রত্নাগিরি-নাগপুর হাইওয়ে নম্বর ১৬৬-এর মাঝে এই চার শতাব্দীর পুরানো বটগাছ পড়ছিল।
এই গাছ যেমন অসংখ্য বাদুড় পাখির আশ্রয়স্থল, ঠিক সেরকমই মন্দিরে আসা দর্শনার্থীরাও গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেন। কিন্তু জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য এই গাছ শিরোনামে উঠে এল। এরপরই শুরু হয়েছিল আন্দোলন। প্রথমে গ্রামবাসী তারপর স্থানীয় প্রশাসন সেখান থেকে আরও দীর্ঘ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রায় সারা দেশের পরিবেশ কর্মীরা জোট বেঁধে ছিলেন এই বুড়ো গাছকে বাঁচাতে।

অবশেষে আন্দোলনের জয় হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধিতার আওয়াজ কানে পৌঁছাতেই মহারাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি জানিয়ে দেন গাছ কাটা হচ্ছেনা এবং গাছ বাঁচাতে পি.ডব্লিউ.ডি কর্তৃপক্ষ সড়কের নতুন মানচিত্র তৈরি করেছে। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বটগাছ বাঁচাতে পেরে খুশি গ্রামবাসীবৃন্দ, এই সাফল্যের ফলে গোটা ভোসে গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ।
ছবি ঋণ: পিক্সাবে