গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

বরফের উপর রক্ত দেখে আপনি নিশ্চয় শিউরে উঠেছেন! কিন্তু আঁতকে ওঠার মতো কিছু হয়নি। তবে সাদা বরফ রক্তবর্ণের হয়ে ওঠার কারণ জানলে আপনি যে আবাক হবেন, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আন্টার্কটিকার সাদা বরফ লাল হয়ে ওঠার একমাত্র কারণ হল শ্যাওলা! এই তুষার শ্যাওলা সাধারণত লাল অথবা হালকা গোলাপি রঙের হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে বরফের রঙও লাল দেখায়। গরম পড়লেই আন্টাকর্টিকার বরফ যখন ধীরে ধীরে গলতে শুরু করে তখনই জন্ম নেই এই লাল বর্ণের তুষার শ্যাওলা।

এই ধরণের বরফ প্রথম দেখা গিয়েছিল প্রায় ২০০০ বছর আগে। যা আবিষ্কার করেছিলেন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টোটল। তাঁর লেখা ‘হিস্ট্রি অব অ্যানিম্যালস’ গ্রন্থে এই লাল রঙের তুষারের বর্ণনা পাওয়া যায়।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, বরফের মধ্যে এই ধরণের শ্যাওলা জন্ম নিলে চিন্তার বিষয়। কারণ এই শ্যাওলাগুলি প্রচুর পরিমাণে সূর্যের তাপ শোষণ করে। তবে সেই তুলনায় তাপ বিকিরণ করে খুবই কম। যার ফলে বরফ অতিরিক্ত মাত্রায় গলতে থাকে। আর বরফ গলতে শুরু হলে এই শ্যাওলা আরও ছড়িয়ে যায়। এই লাল রঙের তুষার শ্যওলাকে বলা হয় ‘ওয়াটারমেলন স্নো’।

আন্টার্কটিকায় এই দৃশ্য দেখে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা বলছেন, ওয়াটারমেলন স্নো জন্মানোর ফলে অনেক বেশি পরিমাণে বরফ গলতে শুরু করেছে। একেই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। যার ফলে গলে যাচ্ছে দুই মেরুর বরফ। এটা সারা বিশ্বের জন্যই একটা আতংকের বিষয়।

তাই এখনই যদি আমরা সচেতন হতে না পারি, তাহলে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে প্রাণীকুল।