গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

গত ৬ মার্চ উদযাপিত হল রঙ্গকর্মী আয়োজিত নাট্য উৎসব ‘সমন্বয় -৯ (২০২১)’। ৬ মার্চ – ১০ মার্চ পর্যন্ত ঊষা গাঙ্গুলী মঞ্চ, রঙ্গকর্মী স্টুডিও থিয়েটারে চলে সেই উৎসব। ‘সমন্বয়’-এর ভাবনা রঙ্গকর্মীর প্রতিষ্ঠাতা (প্রয়াত) শ্রীমতী ঊষা গাঙ্গুলীর চিন্তাপ্রসূত। বিভিন্ন সৃজনশীল ক্ষেত্রের শিল্প-সাংস্কৃতিক বিভিন্নতাকে এক‌ই মঞ্চে সমবেত করার উদ্দেশ্যই ‘সমন্বয়-৯’। পুতুল নাচ থেকে শুরু করে মুখাভিনয় এবং নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে বিভিন্ন শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক-শিল্প মহলের প্রতিভাবান শিল্পীদের প্রতিনিধিত্বাধীন দলগুলির দ্বারা।

‘রঙ্গকর্মী’ – এক সংস্কৃতি এক প্রথা এক আন্দোলন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে রঙ্গকর্মীর উদ্ভব এবং বর্তমানে রঙ্গকর্মী কলকাতার অন্যতম প্রথম সারির তথা প্রধান হিন্দী নাট্যদল। নাট্যদল হিসেবে রঙ্গকর্মী রাজনৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য তথা নিপীড়ন ইত্যাদি নানাবিধ ক্রিয়াকলাপকে নাটকের মাধ্যমে জনসমক্ষে পেশ করা। সামাজিক সচেতনতা প্রচারের প্রয়াস রঙ্গকর্মীর প্রতিটি নাটকের শেষেই লক্ষণীয়। আর্দশবাণী দ্বারা সমস্যার সরলীকরণ কিংবা সহজ সমাধানের সন্ধান রঙ্গকর্মীর আর্দশবিরুদ্ধ।

৬ মার্চ, নাট্য উৎসব ‘সমন্বয়-৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় বিকেল ৫টা নাগাদ। উদ্বোধন পরবর্তী অনুষ্ঠান রঙ্গকর্মী নাট্যদল অভিনীত নাটক ‘Sarhadein’ , নির্দেশনায় ছিলেন নিলাদ্রী ভট্টাচার্য্য। এর পরবর্তী দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ আনন্দমহল, দক্ষিণ গড়িয়া নাট্যদল দ্বারা অভিনীত নাটক ‘মুক্তি’ অনুষ্ঠিত হয়। যার নির্দেশনা করেছিলেন সৌরভ মুখোপাধ্যায়। এর পরবর্তী সুদীপ গুপ্ত পরিচালিত ডলস্ থিয়েটার‌ গ্ৰুপের নাটক (পাপেট শো) ‘Taming of the wild’ মঞ্চস্থ হয়।
৮ মার্চ দীপঙ্কর সেনের নির্দেশনায় ভীমরতি নাট্যদলের নাটক ‘পাঁচকান’ এবং সোমা দাস-এর দি সোমা মাইম থিয়েটার দলের মুখাভিনীত নাটক ‘দেবী’ মঞ্চস্থ হয়। পরের দিন, ৯ই মার্চ দেখা যায় নির্দেশক প্রবীর গুহর অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার নাট্যদলের নাটক ‘কালারস্ অফ লভ’ এবং মাহমুদ আলমের নাটক ‘সাফারনামা’, পরিবেশনায় ছিলেন জানুস্ সেন্টার ফর ভিসুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস। এই নাট্যৎসবের শেষ দিন ছিল ১০ই মার্চ। ওই দিন যাদবপুর মন্থন দলের নাটক ‘বলাই’, নির্দেশনায় অনীক ঘোষ এবং পরবর্তীতে নির্দেশক সুজন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় চেতনা নাট্যদলের নাটক ‘গিরগিটি’ মঞ্চস্থ হয়।

পাঁচদিন ব্যাপী ওই নাট্য উৎসবে আমন্ত্রিত গৌতম ঘোষ, অলকানন্দা রায়, আশিষ দাস, প্রবীর গুহ এবং জ‌ওহর সরকারকে রঙ্গকর্মীর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়।