গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

‘করোনা’ নাম নিয়ে এক ভয়ংকর মহাদানব এসে উপস্থিত হয়েছে আমাদের সুজলা সুফলা এই পৃথিবীতে। বাঁচার একমাত্র উপায় অন‍্যদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। কিন্তু সবসময় তো তা সম্ভব নয়, প্রয়োজনে আপনাকে তো বাড়ির বাইরে যেতেই হবে। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে সুরক্ষা বলয়ে ঢেকে রাখা। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, মাথায় হেলমেট। কী অস্বস্তিকর! তাই না? বাড়ি ফিরে খুলতে পারলে বাঁচেন। মনে মনে ভাবেন কবে যে এই আপদ বিদায় নেবে পৃথিবী থেকে।

কিন্তু একবার ভাবুন তো, এটাই যদি চিরকালীন অভ‍্যাসে পরিণত করতে হয় আপনাকে। কেমন লাগবে তখন। যেমন করতে হয়েছে এই মরক্কোবাসী তরুণীকে। নাম ‘ফতেমা গাজেভি‘। বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে মাথায় মহাকাশচারীদের হেলমেট পড়ে আছে সে।

ফতেমা একটি বিরল ত্বকের রোগের শিকার, যার নাম ‘জিরোডার্মা পাইগামেন্টোসাম’। এই রোগে আক্রান্তদের ত্বকে রোদ লাগলেই, মারাত্মক ক্ষতি হয় ত্বকের। সাধারণত প্রত্যেকের শরীরে বিশেষ করে মুখে রোদ পড়তে পড়তে একসময় চামড়া পুড়ে যায়, তবে শরীরের কোষগুলো তা নিজে থেকেই ঠিক করে। কিন্তু এই রোগের কারণে তরুণীর ত্বকের কোষ আবার তা ঠিক করতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে মুখে সূর্যের আলো পড়লে ত্বকে ক্যান্সার হতে পারে। ফাতেমার বয়স যখন ১৩, তখন তার এই রোগ ধরা পরে। সে গত ২০ বছর ধরে হেলমেট পরে শরীরকে রোদের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখছে। এই কারণে দিনের বেলা বেশীর ভাগ সময় ঘুমায় সে এবং রাতে বাইরে বের হয়। রোদ না থাকলেও ঘর থেকে বাইরে বের হতে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হয় তাকে। করোনা তো একদিন বিদায় নেবে এই পৃথিবী থেকে, আমরাও মুক্তি পাব মাস্কের থেকে। কিন্তু এই তরুণীর সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থেকে যাবে তার এই মুখাবরণ ও হেলমেট।

তথ‍্য সূত্র: দ‍্য ডেইলি মেইল

ছবি ঋণ: ক্রিপটোনিনজা