গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
আমরা সকলেই জানি যে পশুদের ইন্দ্রিয়গুলির ক্ষমতা প্রখর হয়। তাই অপ্রাকৃতিক অনেক কিছুই তারা উপলব্ধি করতে পারে যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। অস্কার, একটি বিড়াল, এরকমই এক দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারি সে। অন্য ৪-৫টি বিড়ালের সাথে সে বাস করে রোড আইল্যাণ্ডের ‘স্টীর হাউস নার্সিংহোম এন্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার’ নামক হাসপাতালে। তবে অন্য বিড়ালদের মত তার ব্যবহার মোটেই বন্ধুসুলভ নয়। বরং, তাকে একটু অসামাজিক বলা যায়। তাহলে কী বিশেষত্ব তার-
হাসপাতাল কর্মীদের মতে মৃত্যুর আঘ্রাণ পায় এই বিড়াল। অন্য কোন রোগীর কাছে না গেলেও অস্কার পৌঁছে যায় মৃত্যুপথযাত্রীর কাছে। মৃত্যুর ২ ঘন্টা আগে সে সেই রোগীর পাশে গিয়ে বসে, তাকে জড়িয়ে ধরে, অপেক্ষা করে তার মৃত্যু পর্যন্ত। এমনকি কোন রোগীর ঘরের দরজা যদি বন্ধও থাকে, সে দরজা ধাক্কাতে শুরু করে, আঁচড় কাটে দরজায়। হাসপাতাল কর্মীরা তার যথার্থই নামকরণ করেছে, ‘গার্ডিয়ান এঞ্জেল অফ গড’।

হাসপাতালের এক ডাক্তার ‘ডেভিড ডোসা’ এই অত্যাশ্চর্য বিড়াল সম্পর্কে লেখা তার ‘মেকিং রাউন্ডস উইথ অস্কার, দ্য এক্সট্রাঅর্ডিনারি গিফট অফ অ্যান অর্ডিনারি ক্যাট’ বইতে বলছেন, বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ না থাকলেও আমরা এবং হাসপাতালের অন্য কর্মীরা বিশ্বাস করি অস্কারের এই ক্ষমতার উপর। কারণ প্রায় ১০০টিরও বেশি ক্ষেত্রে আমরা এটি ঘটতে প্রত্যক্ষ করেছি। তাই এখন অস্কার কোন রোগীর কাছে গেলেই আমরা তার বাড়ির লোককে খবর দিই। বিজ্ঞানীদের মতে, মৃতপ্রায় মানুষের থেকে নির্গত রাসায়নিকের ঘ্রাণ পেয়েই এমন করে অস্কার।
তথ্য সূত্র: দ্য মিরর
ছবি ঋণ: ক্যাটস্টার, আফটারিং, লুপস্কোপ