গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেছে নাসার মঙ্গলযান পারসেভেরান্স। এর আগে এত বড় যান মঙ্গলে কখনও পাঠানো হয়নি। আর এই বিশেষ মঙ্গলযানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক বাঙালি যুবকের নাম। তিনি হলেন সৌনক দাস।

শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সৌনক। আগে বেশ কয়েক বছর ধরে গুগল ম্যাপের লোকাল গাইড হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বছর দু’য়েক আগে নাসা থেকে জানানো হয়েছিল, যারা এই মঙ্গলযাত্রায় ভার্চুয়াল যাত্রী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করাতে চান তাদের নাম নথিভুক্তকরণ শুরু হচ্ছে। সেখানেই আবেদন জানিয়েছিল সৌনক। পরবর্তীকালে নাসা থেকে তাঁকে ইমেলে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে এক কোটিরও বেশি মানুষের সঙ্গে তার নামও সংযোজিত হচ্ছে ভার্চুয়াল যাত্রীর তালিকায়। মঙ্গল গ্রহে গবেষণার জন্য রেখে আসা হয়েছে একটি মাইক্রোচিপ। ওই চিপেই রয়েছে সৌনক এবং অন্যান্য সকল যাত্রীর নাম-ঠিকানা। এই ভার্চুয়াল সফরের জন্য তাদেরকে বোর্ডিং পাসও পাঠিয়েছে নাসা।

পারসেভেরান্স মঙ্গল গ্রহের যে অংশে অবতরণ করেছে, তার নাম ‘জেজেরো ক্রেটার’। যা মঙ্গল গ্রহের একটি শুকনো সরোবর। অবতরণের সময়টিকেই এই অভিযানের সবচেয়ে কঠিন অংশ বলে মনে করেন নাসার বিজ্ঞানীরা। পারসেভেরান্স-এর মধ্যেও রাখা হয়েছে এমনই উন্নততর নেভিগেশন ব্যবস্থা যার সাহায্যে মঙ্গলপৃষ্ঠ ছোঁয়ার আগে সে নিজেই ছবি তুলে নিরাপদ অবতরণের জায়গা খুঁজে নিতে পেরেছে।

মঙ্গলে কখনও প্রাণের সম্ভাবনা ছিল কিনা, তা অনুসন্ধান করা অবশ্যই পারসেভেরান্স-এর অন্যতম কাজ। পারসেভেরান্স মঙ্গলে রেখে আসবে ৪৩টি টেস্ট টিউব। যা লালগ্রহ থেকে পাথর এবং ধূলিকণা সংগ্রহ করবে। এর পর ২০২৬ সালে নাসার পরবর্তী অভিযানে সেই টেস্ট টিউবগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে গবেষণার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে মঙ্গলগ্রহ নিয়ে গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদী নাসা। শ্রীরামপুরে বসে রাত জেগে সৌনক নিজের নাম সম্বলিত মঙ্গলযানের সাফল্য দেখে উত্তেজিত। তিনি নাসার আরও একটি প্রকল্পের অংশীদার এবং মঙ্গলগ্রহে ইতিমধ্যে জমিও কিনে ফেলেছেন।

ছবিঃ ফেসবুক, উইকিপিডিয়া