গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

বসন্ত আসতে না আসতেই ফলের দোকানে দোকানে সবুজ, লাল, বাদামি কুলের ঝুড়ি। ছোট ছোট বুনো কুল থেকে শুরু করে নারকেল কুল, বাও কুল, বোম্বাই কুল, আপেল কুলে ঠাঁসাঠাসি বাজার। সামনেই সরস্বতী পুজো অর্থাৎ খুদেরাও কুল খাওয়ার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। শুধু স্বাদেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিবিদদের মতে কুলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। জানলে অবাক হবেন, দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কুল দারুন উপকারী।

প্রতি ১০০ গ্রাম কুলে থাকে ৭৯ কিলো ক্যালরি, শর্করা, ভিটামিন-এ, থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-বি ৬, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম এবং জিংক। এই সকল খনিজ পদার্থগুলি রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

কুলের পুষ্টিগুণঃ

অবসাদ দূর করেঃ অবসাদে ভুগলে কুল খান, কুল থাকা উপাদান অবসাদ কেটাতে সাহায্য করে ।

সংক্রামক রোগ দূরে রাখেঃ কুলে আছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন-সি। এটি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন – টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যানসাররোধীঃ কুলের রসকে ক্যানসাররোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে রয়েছে ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা।

যকৃত ভালো রাখেঃ যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই যকৃতে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করে এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে।

মৌসুমি সর্দিকাশি দূর করেঃ কুল উপস্থিত উপাদান রক্ত বিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে। এছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে এই সুস্বাদু ফল।

অ্যান্টি এজিংয়ের কাজ করেঃ কুলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে দারুণ উপকারী।

ত্বকের রুক্ষতা কমায়ঃ কুল ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। রোদে পোড়া ত্বকের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও কার্যকর।

এছাড়াও কুল কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে। হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে এবং খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।

মনে রাখবেন, অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় যারা ভুগছেন কুল খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।   

ছবিঃ পিক্সাবে