গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের অন্তর্গত একটি জেলা হল ঝাড়গ্রাম। জায়গাটি তার পাহাড় এবং বনভূমিতে ঘেরা পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার  ঠিক দক্ষিনে রয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। প্রাচীন মন্দির, রাজপ্রাসাদ এবং লোক গীতি এই এলাকাটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। সঙ্গে দেখা মিলবে বন্যপ্রাণীদের। ঝাড়গ্রামের উত্তরে অবস্থিত কাকড়াঝোড় গ্রাম। এখানে রয়েছে ছোট ছোট মাটির বাড়ি এবং মাকুলির খেত। গ্রামটির মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনাকে মোহিত করবে। জঙ্গলে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রামটি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত গন্তব্য বটে।

শাল, মহুয়া, পিয়াল, সোনাঝুরি, শিরিষ, ইউক্যালিপটাস ও সেগুন গাছে ঢাকা কাকড়াঝোড়। নিত্যদিনের ব্যাস্ততাপূর্ণ জীবন থেকে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারেন রোমাঞ্চময় এই সবুজ জঙ্গলে। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

তবে বেশি নয়, মাত্র দু’দিনের ছুটিতেই ঘুরে আসার উপযুক্ত জায়গা হল কাকড়াঝোড় ।

কী দেখবেনঃ অরণ্য ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রামে হেঁটে অথবা গাড়িতে যেতে পারেন ময়ূরঝর্না পাহাড়। সেখানে দেখা মিলবে হরিণ, খরগোশ, ময়ূর, ভাল্লুক ইত্যাদির। আর যেহেতু এখন বসন্ত কাল, তাই কাকড়াঝোড়ের বিভিন্ন জলাশয়ে এখন দেখা পাওয়া যাবে নাম না জানা বহু পাখির।

এছাড়াও গাড়ি ভাড়া করে দেখে আসতে পারেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, ঘাঘড়া জলপ্রপাত, মুকুটমণিপুর, ঝিলিমিলি পাহাড়, খান্দার্নি বাঁধ, লালজোলা পাহাড় ইত্যাদি।

কীভাবে যাবেনঃ হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে ঘাটশিলা যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পৌঁছাতে হবে কাকড়াঝোড়।

কোথায় থাকবেনঃ এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোমস্টের ব্যাবস্থা। এছাড়া ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতেও থাকতে পারেন। তবে সেখানে থাকার জন্য আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করাই ভালো। এছাড়া ঝাড়গ্রামেও থাকতে পারেন।