গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
প্রতিদিনের ব্যাস্ততার মাঝে মন চায় কিছুদিনের ছুটি। যেখানে থাকবে না কোনও তাড়াহুড়ো, মানসিক চাপ, বসের বকুনি ও শহুরে কোলাহল। সব মিলিয়ে একটা শান্তির পরিবেশ চাই। তাই দুই দিনের ছুটি কাটাতে যেতেই পারেন পুরুলিয়ার দোলাডাঙা নেচার ক্যাম্প। লাল মাটির রাস্তা, চারিদিক ঘেরা সবুজ গাছপালা, মাটির ঘর-বাড়ি, খড়ের ছাউনি, জঙ্গল ও নদী সবকিছুই পাবেন এই জায়গায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, রাতে পাবেন ক্যাম্প ফায়ার। যা এই শর্ট ট্রিপে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করবে। সঙ্গে থাকবে জিভে জল আনা খাবার-দাবার, মন ভোলানো বাউল গান এবং মাদলের তালে তাল মেলানো আদিবাসী নাচ। সব মিলিয়ে এটা আপনার জন্য হতে পারে একটা রোমাঞ্চকর ট্রিপ।
কংসাবতীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামটিতে রয়েছে প্রায় ৪০টি আদিবাসী পরিবার। এই আদিবাসী মানুষগুলির একান্ত চেষ্টাতেই গড়ে উঠেছে এই পর্যটনকেন্দ্র। তাদের আর্থিক সংস্থান এই ক্যাম্পকে ঘিরেই।
থাকার জন্য রয়েছে হোম স্টে, রিসোর্ট, ব্যাগ-প্যাক এবং হোটেলের ব্যাবস্থা। সেখানে ঠাই পাবেন মাটির ঘরে। জঙ্গল ঘেরা এই নিরালা পরিবেশে রাতেও কোনও ভয় নেই। কারণ বন্য পশু বলতে রয়েছে শুধুমাত্র হরিণ, খরগোশ ও বুনো শূকরের দল। আরও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য রয়েছে রাতে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা।
এছাড়া সন্ধ্যায় আড্ডা জমাতে রয়েছে ক্যাম্পফায়ার। সঙ্গে বাউল গান ও সাঁওতালি নাচের আসর। এই সব কিছুর মধ্যে বুঝতেই পারবেন না কখন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। তবে আসর চলা কালীন নিজের পছন্দসই খাবার নিতে চাইলে আগে থেকেই ক্যাম্পে বলে দিতে হবে। পরের দিন নৌকা করে ঘুরে দেখতে পারেন আশেপাশের দ্বীপগুলি।
এই ক্যাম্পে থাকা-খাওয়া মিলিয়ে জনপ্রতি খরচ পড়বে প্রায় ১২০০-১৫০০ টাকা। কোথায় থাকছেন তার উপর নির্ভর করে কম-বেশি হবে টাকার অঙ্ক। এছাড়া সাফারি এবং নৌকায় ভ্রমনের জন্য খরচ মাথা পিছু ৫০০ টাকা ।
কীভাবে যাবেনঃ
গাড়িঃ কলকাতা থেকে গাড়ি করে খড়গপুর যেতে হবে। যার সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘন্টা ১২ মিনিট। তারপর পরেশনাথ ফেরি ঘাট পার করে দোলাডাঙা নেচার ক্যাম্প। দূরত্ব ২৭৫ কিমি।
বাসঃ বাঁকুড়া থেকে মানবাজার হয়ে দোলাডাঙায় পৌঁছে যেতে পারেন দুরত্ব ২৭০ কিমি। এছাড়াও ধর্মতলা থেকে বাস ধরে মানবাজার সেখান থেকে দোলাডাঙা।
ট্রেনঃ বাঁকুড়া বা পুরুলিয়া থেকে মানবাজার তারপর সেখান থেকে দোলাডাঙা। দূরত্ব ২৫০ থেকে ৩২০ কিমি।
প্রকৃতির বুকে দু’দিন সময় কাটাতে বেড়িয়ে আসুন দোলাডাঙা নেচার ক্যাম্প থেকে।