গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

বাজারে ইতিমধ্যেই ছেয়ে গিয়েছে কাঁচা আম। আর কিছুদিন পরেই দেখা মিলবে সুস্বাদু, রসালো, পাকা আমের। গ্রীষ্ম কষ্টদায়ক হলেও শুধুমাত্র আমের জন্যই এই ঋতু অনেকের প্রিয়। আম খেতে সকলেই পছন্দ করেন। এই ফল সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আমাদের শরীরের জন্যও বেশ উপকারি। তবে ব্যবসার উন্নতিতে অনেকেই আমে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করে। যা শুধুমাত্র ফলটির উপকারিতা নষ্ট করে না, আমাদের শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকারক। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো হচ্ছে আম, যেমন – ফরমালিন, কার্বাইড ইত্যাদি।

আজ আমরা জেনে নেব বাজারে রাসায়নিক মুক্ত আম চেনার কিছু সহজ উপায়। শুধু আম খেলেই চলবে না, কেনার সময় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। যাতে কোনওরকম ভেজাল শরীরে না ঢুকতে পারে। তবে কীভাবে বুঝবেন আমটি রাসায়নিক মুক্ত কিনা? রইল কয়েকটি সহজ টিপস।

১. আম খাওয়ার সময় যদি দেখেন কোনও মিষ্টি গন্ধ নেই অথবা আমে টক-মিষ্টি কোনও স্বাদই পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে বুঝবেন যে ওই আমে কোনও ওষুধ দেওয়া রয়েছে।

২. আম কেনার সময় নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকুন। রাসায়নিক মুক্ত আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে মিষ্টি গন্ধ পাবেন। ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না, অনেক ক্ষেত্রে বাজে ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায়।

৩. আম গাছপাকা হলে গায়ে কালো বা বাদামি দাগ থাকবে। রাসায়নি দিয়ে পাকানো আমের গা হয় দাগহীন। কারণ কাঁচা অবস্থাতেই ওই সকল আম পেড়ে নিয়ে ওষুধের সাহায্যে পাকানো হয়।

৪. কেনার সময় আমের ওপরে মাছি বসছে কিনা দেখুন। রাসায়নিক থাকলে সেই আমে মাছি বসবে না।

৫. গাছপাকা আমের গায়ের রঙও একটু আলাদা হয়, গোঁড়ার দিকে একটু গাঢ় রঙ দেখা যায়। তবে রাসায়নিক দেওয়া আমের পুরোটাই হলুদ রঙের হয়ে যায়।

৬. রাসায়নিক মুক্ত আমের গায়ে দেখবেন, একটা সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চোবানো আম হয় ঝকঝকে এবং পরিস্কার।

৭. হিমসাগরসহ আরও বেশ কিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ বর্নেরই থাকে। তবে গাছপাকা হলে এসব আমেও বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের গা হবে মসৃণ ও সুন্দর।

৮. আম কেনার পর কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল খুব একটা করে না। গাছপাকা আম হলে আশেপাশে মিষ্টি আমের গন্ধে ম ম করবে। ওষুধ দেওয়া আমে সেই মিষ্টি গন্ধ হয় না।

ছবিঃ পিক্সাবে