গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
গোটা বিশ্বকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলছে করোনা আতঙ্ক। তবে ভাইরাসটা যতটা না ছড়িয়েছে, তার থেকেও বেশি ছড়িয়েছে নানা ধরণের গুজব। কী থেকে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কী করলে কমবে এই ধরণের নানা ভুল তথ্য নিয়ে চারিদিকে জল্পনা তুঙ্গে। তারই মধ্যে নতুন একটি হল তাপমাত্রা এবং করোনা বিষয়ক জল্পনা। বহু জায়গায় রটে গিয়েছে তাপমত্রা বাড়লেই করোনার প্রকোপ কমবে। তবে এই তথ্যটি যে সম্পূর্ণ ভুল তাও নয়। আবার পুরোপুরি সঠিকও নয়। এক্ষেত্রে বলাই যায়, যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে।
তাপমাত্রা ও করোনা নিয়ে নানা ধরণের গবেষণা চলছে। এর মধ্যে একদল গবেষকদের দাবি, তাপমাত্রা বাড়তে থাকলেই তার প্রভাব পড়বে করোনা ভাইরাসে। অন্য গবেষকরা আবার দাবি করছেন, ক্রমাগত মিউটেশন ঘটিয়ে এই ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে একই মত দিয়েছেন চিনের পেকিং ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ লাইফ সায়েন্সেসের গবেষকরা। যেহেতু ঠান্ডা ও গরম উভয় পরিবেশেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। তাই এই ধরণের দাবি করা নিতান্তই অবান্তর। তাই এই নিয়ে এখনও চিন্তিত গবেষকরা।
অপরদিকে ১৩ মার্চ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, গরম বাড়লে করোনা ভাইরাসের ক্ষমতা কমে যাবে। তবে এখনই এই তথ্যকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না । তার কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস এক এক সময় নিজের চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও এই বিষয়টিকে সিলমোহর দেয়নি। ফলে এই মহুর্তে বলা যাচ্ছে না করোনা কখন কী পরিবর্তন ঘটিয়ে কোন মূর্তি ধারণ করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আন্টার্কটিকা ছাড়া বাকি মহাদেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এখনও মোট আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। এই মুহুর্তে সারা বিশ্বের মানুষের একটাই জিজ্ঞাসা এই মারণ ভাইরাস থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? সকলে জানতে চাইছেন, এই মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে কীভাবে বাঁচা সম্ভব? কিন্তু দুঃখের বিষয় এই ভাইরাসকে নষ্ট করার কোনও প্রতিষেধক এখনও তৈরি করা যায়নি। এই নিয়ে চলছে জোর কদমে গবেষণা।
গবেষকদের বক্তব্য করোনা নিজের জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রধানত দুটি প্রজাতিতে বিবর্তিত হচ্ছে। একটি হল ‘এস’ এবং অপরটি ‘এল’। তবে ‘এল’ প্রজাতির ভাইরাসটাই বেশি সংক্রমিত হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
তাই এই মুহূর্তে কোনও রকম জল্পনা-কল্পনায় কান না দিয়ে, সতর্কতা মেনে চলাই কাম্য।