গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
বিছানায় শুয়েই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ইউটিউবে ভিডিও স্ট্রিমিং করতে করতে রাতের ঘুমের দফারফা! এইভাবেই কিন্তু আমাদের অর্ধেক এনার্জি সোর্স নষ্ট করছে মোবাইল ফোন। চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৮-৮০ যাই হোক না কেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে একটানা ভাল ঘুমের ভীষণ প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ঠিক মতো ঘুম না হলে ডেকে আনতে পারে ভয়ংকর বিপদ। এমনকি হতে পারে স্ট্রোকও! এছাড়াও মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রেডিয়েশনের প্রভাবে ক্যানসারের মতো রোগও বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
দেখা গিয়েছে সাধারানত ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যেই মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। সঙ্গে কাজের স্ট্রেস তো রয়েছেই। অনেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু ফোন ঘেঁটে নেন। বর্তমানে মহামারির কবলে পড়ে ছোটরাও মোবাইলকে খেলার সঙ্গী করে ফেলছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ঘাঁটা অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর এতেই হয়েছে বিপদ। ঘুমের আগে মোবাইল দেখা এবং মানসিক চাপের প্রভাবে ঘুমের ক্ষতি হয় ভীষণভাবে। তাই রাতে ফোন দেখা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। যারা মোবাইল ফোনে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন, তারা জানেন না যে এটা মস্তিষ্কের জন্য কতটা ক্ষতিকর। সঙ্গে অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনের আলো চোখের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। অপরদিকে এটি ঘুম আসার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ঘুমের সঙ্গে সরাসরি যোগা রয়েছে হার্টের। রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির আবশ্যিক। ঘুম কম হলেি বৃদ্ধি পায় কার্ডিও-ভ্যাসকুলার ডিসিজের সমস্যা। তবে এও মনে রাখতে হবে, যে কোনও সময় ঘুমও স্বাস্থ্যকর নয়। রাতের খাবার খেয়ে অন্তত ৩০ মিনিট পর বিছানায় যান। এরপর চোখ বুজে শুয়ে ঘুমের অপেক্ষা করা উচিত। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কম ঘুমের কারণে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে! এছাড়াও দীর্ঘদিন ব্যাপী ঘুম কম হলে সেরিব্রাল স্ট্রোকেরও সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
মহামারির কারণে বেড়েছে কর্মহীনতা এবং কাজে অনিশ্চয়তা। এর ফলে বেড়েছে স্ট্রেস, টেনশন। অনেকের আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য কাজের সময়ও বেড়েছে। সব মিলিয়ে থাবা পড়েছে ঘুমের সময় ও পরিবেশে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমের শুরুটা যেন নিশ্চন্তে হয়, সেটা খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ঘুমের আগে যে কোনও মন চঞ্চল করা বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘুমের ঘাটতি যেমন বড় রোগের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে, ঠিক তেমনই কোনও বড় রোগের উপসর্গও হতে পারে ঘুম না আসা। তাই ঘুমের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যাকেই হালকাভাবে নিলে চলবে না, অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।