গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

এতদিন এক্সপায়রি ডেট শুধুমাত্র প্যাক্যেটজাত দ্রব্য বা খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেদিক থেকে প্যাকেটজাত মিষ্টির ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম লাঘু ছিল। তবে এবার থেকে এক্সপায়ারি ডেট থাকবে খুচরো বা লুজ মিষ্টির ক্ষেত্রেও। দোকানে লুজ মিষ্টির ট্রেতে রাখতে হবে ওই মিষ্টিটি কবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তা কতদিন পর্যন্ত খাদ্যপযোগী থাকবে।

ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, (২০০৬) অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এই নিয়মটি সারা দেশে চালু হবে আগামী জুন মাসের ১ তারিখ থেকে৷ ফলে বাধ্যতামূলক ভাবে সব মিষ্টি বিক্রিতাকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।

অন্যান্য প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের মতো লুজ মিষ্টির ক্ষেত্রেও এক্সপায়ারি ডেট দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার৷ (ফাইল নং-১৩ (২৯) ২০১৯/ মিল্ক / আরসিডি / এফএসএসএআই) অনুযায়ী গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ এই নতুন নিয়মটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

খাদ্যপযোগী মেয়াদ অতিক্রম করা লুজ মিষ্টি অনেকেই না বুঝে খেয়ে ফেলেন। তারপর সেই বিষাক্ত মিষ্টি খেয়ে তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ধরণের একাধিক অভিযোগ আসার পর দেশের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, (২০০৬) অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশে এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে৷

ওই নিয়ম অনুযায়ী, শুধুমাত্র প্যাকটেজাত মিষ্টি নয়, লুজ বা দোকানের খুচরো মিষ্টির ক্ষেত্রেও কোন মিষ্টিটি ঠিক কবে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং তার খাদ্যপযোগী মেয়াদ কাল কতদিন বা কতক্ষণ, তা বিশদভাবে বর্ণনা করে, ওই মিষ্টি যে ট্রেতে থাকবে তাতে রাখতে হবে৷ জনগনের স্বার্থে এই নির্দেশ বাধ্যতামূলকভাবে সকল মিষ্টি ব্যবসায়ীকেই মানতে হবে। শুধু তাই নয়, কোন কোন মিষ্টির মেয়াদ কতদিনের হবে, তাও ঠিক করে দেবে এফবিও৷ এই বিষটি আরও বিশদে দেওয়া হয়েছে এফএসএসএআই-এর ওয়বেসাইটে।

এই নতুন নিয়ম ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে মিষ্টি বিক্রেতাদের মধ্যে। ছোট ছোট স্থানীয় মিষ্টি ব্যাবসায়ীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন নিয়মে তারা বিপাকে পড়বেন। তবে দেখতে গেলে এই নির্দেশটি সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উপকারি। কারণ এতদিন আমরা নিজেই অজান্তেই বিষাক্ত মিষ্টি খেয়ে ফেলতাম, ফলে পেটের ব্যাথা, বদ হজমের মতো নানা সমস্যায় ভুগতাম। এবার হয়তো সেই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।