গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রয়োজন, উপযুক্ত খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চা। তাই সুস্থ থাকতে অনেকেই সেই রুটিন মেনে চলেন। আবার ব্যস্ততার কারণে অনেকেই শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় দিতে পারেন না। তবে জানেন কি নিয়মিত সিঁড়ি ভাঙাও এক ধরণের শরিরচর্চা? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিদিন সিঁড়িতে ওঠানামা করলে আমাদের শরীরের মাংসপেশী শক্ত হয়। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত ক্যালোরিও ঝরে এই সহজ উপায়ে। তাই অফিসে হোক অথবা বাড়ি, দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে লিফটের সুবিধা না নিয়ে সিঁড়িতে ওঠানামা করলে হাঁটুর পেশি মজবুত হবে। সিঁড়িতে ওঠানামার ক্ষেত্রে রয়েছে আরও কিছু উপকারিতা, চলুন জেনে নেওয়া যাক…   

হৃদরোগের সম্ভবনা কমে – সিঁড়ি ভাঙা একটি কার্ডিয়োভাস্কুলার এক্সারসাইজ। তাই নিয়মিত এটি করতে পারলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। রোজ সাত থেকে আট মিনিট সিঁড়ি ভাঙতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও ৩৩ শতাংশ কমে।

উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন – সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস থাকলে উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসের সম্ভবনাও কম থাকে।

শারীরিক শক্তি এবং ভারসাম্য বাড়ায়- সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার ক্ষেত্রে পায়ের পেশী, পেরোনাল টেনডন এবং গোড়ালি শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য একই সময় একসঙ্গে কাজ করে। এতে শরীরিক শক্তি বৃদ্ধি হয়।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাস – এটি নিয়মিত করলে শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে সহজেই ওজন কমে।

জয়েন্ট মজবুত করে – সিঁড়িতে ওঠানামা করলে হাঁটুর জয়েন্ট মজবুত হয়।

এছাড়াও নিয়মিত সিঁড়ি ব্যবহারে মেজাজ ভালো থাকে। কারণ ওঠা-নামা করার সময় এক বিশেষ হরমোন নিঃসৃত হয়। যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাঁটতে হবে তাহলেই উপকার পাবেন এবং মনে রাখবেন প্রথমেই অতিরিক্ত সিঁড়ি ভাঙবেন না এতে হীতেবিপরীত হবে। বলা বাহুল্য, আপনার যদি কোনোরকম শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা থাকে, এটি করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

    ছবি সৌজন্যেঃ পিক্সাবে