গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

আমরা প্রয়শই বিভিন্ন ধরণের ফল খেয়ে থাকি। মরশুমি ফল তো বটেই, বিভিন্ন সহজলভ্য ফলের মধ্যেও থাকে বহু উপকারিতা। তবে প্রতিদিন আমরা সবজি খেলেও ফল অনেকেই খাই না। সেদিক থেকে অনেক পুষ্টিগুণই আমাদের নাগালের বাইরে থেকে যায়। একদিকে যেমন রঙিন মরশুমি ফলের মধ্যে থাকে নানা ধরণের উপাদান, অপরদিকে বিভিন্ন ড্রায়েড ফ্রুটের মধ্যেও রয়েছে বহু উপকারিতা। আর সেই তালিকায় প্রথমেই যার নাম আসে তা হল খেজুর।

জানেন কি সারা বছর সহজলভ্য এই ফলের কী কী গুণাগুণ রয়েছে? না জানা থাকলে আজই জেনে নিন।    

  • আয়রনের ঘাটতি দূর করেঃ প্রতিদিন দুধের সঙ্গে ৩-৪টে খেজুর ফুটিয়ে খেতে পারলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করা সম্ভব।
  • খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধঃ পাকা খেজুরে প্রচুর পরিমানে সালফার, শর্করা, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কোবাল্ট, সোডিয়াম, ফ্লুরিন, প্রোটিন, আয়রন ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকে।
  • লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দূর করেঃ যারা লো ব্ল্যাড প্রেসার রয়েছে, তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।
  • শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ভিটামিন-সি ছাড়াও খেজুরে থাকে ভিটামিন-এ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরে খুব সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।  
  • শক্তির উৎসঃ খেজুরে ভিটামিন-সি, ফ্রুকটোজ, গ্লাইসেমিক, ফাইবার এবং ক্যালসিয়াম উপস্থিত থাকে, তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান খেজুর খেলে তা থেকে শরীরে এনার্জি বা শক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খেজুর খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ৪-৫টি খেজুর সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই জল পান করলে উপকার পাওয়া যায়।  
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ খেজুরে উপস্থিত ভিটামিন বি-৬ আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • গ্লুকোজের ঘাটতি দূর করেঃ শরীরে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিলে খেজুর খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

ছবিঃ পিক্সাবে