গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দেখা মেলে টাটকা শাকসবজির। ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মটরশুঁটি, শিম, মূলো, বীট, গাঁজর, পালং শাক, মেথি শাক, কড়াই শাক ইত্যাদি রকমারি রঙিন শাকসবজিতে ছেয়ে যায় শীতের সবজি বাজার। তবে কোনওকিছু না ভেবেই সেগুলি কেনার আগে সতর্ক হোন। কারণ বেশ কিছু দানাশস্য ও সবজি থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে একপ্রকার ‘বিষ’। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই বলছেন মার্কিন চিকিৎসকরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এর একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা বেশ কিছু দানাশস্য ও শাকসবজি মানবদেহের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। এর মূল কারণ হিসাবে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন গাছের ‘ডিফেন্স মেকানিজম’-কে। বেশ কিছু গাছে ডিফেন্স মেকানিজম থাকার ফলে গাছ নিজের দেহে বিষাক্ত ল্যাক্টিন উৎপন্ন করে। বিভিন্ন পোকামাকড়ের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য এই ল্যাক্টিন ব্যবহার করে গাছ। এইসব গাছে আসা পোকামাকড় ল্যাক্টিনের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পঙ্গু হয়ে যায়।

এই ল্যাক্টিন শুধুমাত্র পোকামাকড়ের জন্যই ক্ষতিকর নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষেও এর একটা ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।

বিভিন্ন শাকসবজি এবং দানাশস্য খাওয়ার সময় নিজের অজান্তেই মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে এই ল্যাক্টিন। এর ফলে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে মানসিক অবসাদ, অটোমিউন ডিজিস, ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ব্রেন ফগ ও অ্যালার্জির মত রোগে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক অবসাদের কারণ কিন্তু শরীরে ল্যাক্টিন প্রবেশ।

বিষাক্ত ল্যাক্টিন উৎপন্নকারী দানাশস্য ও সবজির তালিকায় চিকিৎসকরা বিশেষভাবে টমেটো, মটরশুঁটি এবং শসার কথা উল্লেখ করেছেন।

তবে চিকিৎসকদের দাবি, শাকসবজির তুলনায় দানাশস্যের মধ্যেই ল্যাক্টিনের প্রভাব অতিমাত্রায় থাকে। যেখানে মটরশুঁটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কাজুবাদাম, শুকনো লঙ্কা, সয়াবিন দানা, চিনাবাদাম-এর মতো দানাশস্যেও ল্যাক্টিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

তথ্যসূত্রঃ ডেইলি মেইল