গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক |
পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় বৃক্ষ রোপণ। যে হারে বেআইনি ভাবে গাছ কাটা শুরু হয়েছে তা এভাবেই চলতে থাকলে পৃথিবীর বুক থেকে একসময় সবুজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে মাস খানেক আগেই আমাজনের বেশ কিছুটা জঙ্গল পুড়ে ছাই হয়েছে বিধ্বংসী আগুনে। পুড়েছে বহু প্রজাতির গাছ। গাছ কাটার ফলে শুধুমাত্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তা নয়। বহু প্রজাতির গাছপালা শেষ হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে।
কিছুদিন আগে একদল গবেষক আফ্রিকার শুষ্ক অঞ্চলের গাছপালার খবরাখবর নিতে সেখানে যান। গিয়ে তাঁরা বাইশ হাজারেরও বেশি প্রজাতির গাছগাছালির উপর তাঁদের গবেষণা চালান। আর এই গবেষণা থেকেই উঠে আসে এমন এক তথ্য, যা জানলে ভয় পাওয়ারই কথা। গবেষণায় জানা যাচ্ছে, শুষ্ক অঞ্চলের প্রায় ২২,০০০-এরও বেশি প্রজাতির গাছের মধ্যে প্রায় ৩২ শতাংশ প্রজাতির গাছই আজ বিলুপ্তির পথে। সেই বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির গাছের হিসেব প্রায় ৭০০০।
গবেষকরা তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রজাতির গাছ গুলিকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি আফ্রিকার কোন কোন এলাকার গাছপালা কতটা বিপদের মুখে রয়েছে, তা তুলে ধরেছেন নিজেদের গবেষণার তথ্যে। এই বিষয়ে গবেষকদের দেওয়া তথ্যানুসারে আফ্রিকার পশ্চিমভাগের জঙ্গল, ইথিওপিয়া, কঙ্গোরের দক্ষিণাংশ, তানজানিয়া ইত্যাদি স্থানের গাছপালা নিশ্চিহ্ন হচ্ছে দ্রুত গতিতে।
এই পরিস্থিতির কারণ প্রায় সকলেরই জানা। বাণিজ্যিকরণের স্বার্থে এত বেশি মাত্রায় গাছ কাটার ফলেই আফ্রিকার উদ্ভিদকুল আজ বিলুপ্তির পথে ।
অবশ্য এটা কেবলমাত্র আফ্রিকার সমস্যাই নয়। সারা পৃথিবীতেই চলছে নির্দ্বিধায় গাছ কাটা। বাড়ছে দূষণের মাত্রাও। উদ্ভিদ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না জেনেও চলছে বৃক্ষছেদন। স্বাভাবিক কারণেই বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়ছে সমস্ত প্রাণীকুল। মানুষের নিজের স্বার্থেই সাফ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বনভূমি। পরিবেশ সুস্থ রাখতে অবিলম্বে এই অযাচিত ভাবে গাছ কাটা বন্ধ করার সময় সম্ভবত এসে গিয়েছে। আর বেশি দেরি করলে আমাদের আগামী প্রজন্মকে এর দাম দিতে হবে।