গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

গরমে সকলেই ঠান্ডা পানীয় বা শরবত খেতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে এমন কিছু শরবত রয়েছে যেগুলি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকরও বটে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বেলের শরবত। পুষ্টিবিদরাও বেলের শরবতের প্রশংসা করেন। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, রাস্তায় উন্মুক্ত করে বিক্রি হওয়া কোনও ফলই স্বাস্থ্যকর নয়, বরং ক্ষতি করে। তাই বাড়িতে তৈরি শরবত খাওয়াই ভালো। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের জলের ঘাটতি দূর করতে বেলের শরবতের তুলনা হয় না। অপরদিকে পুষ্টিগুণের দিক থেকেও এটি অনন্য। বেলের শক্ত খোলের ভেতর থাকা নরম, রঙিন শাঁস সরাসরি অথবা শরবত তৈরি করে খাওয়া যায়। এই শরবত নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়ার পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমায়। পেটের নানা সমস্যা দূর করতেও এই ফলের জুরি নেই।

বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বেলের ভূমিকা অনেক। বেল পেটের নানা অসুখ সারিয়ে তোলে।

১. নিয়মিত বেল খেতে পারলে কোলন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং পেট ঠান্ডা থাকে। এ কারণেই গরমের সময় বেলের শরবত উপকারি।

২. এনার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালোরি এনার্জি দেয়। এছাড়াও বেল মেটাবলিক স্পিড বাড়ায়। 

৩. বেল পেট পরিস্কার করে।একথা কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবেও সত্য।নিয়মিত টানা ৩ মাস যদি আপনি বেল খান তাহলে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে।

৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেলের জুড়িমেলা ভার।

৫. ব্যাথা ছাড়া এখন খুব কম মানুষই আছেন।নিয়মিত বেল খেলেই মুক্তি পাবেন আর্থ্রারাইটিস-এর সমস্যা থেকে।

৬. বেলে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান।

৭. আলসারের ওষুধ হিসেবে- পাকা বেলের শাঁসে সেই ফাইবার আছে যা আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে তিনদিন খান বেলের শরবত।এছাড়া বেলের পাতা সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খেলেও অনেকংশে কমে আলসার।

৮. পাকা বেলে আছে মেথানল নামের একটি উপাদান যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে।তবে শরবত করে নয় বেল খেতে হবে এমনিই।