গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
সারাদিন খাটা-খাটনির পর দিনের শেষে যখন ঘুমাই, সেই ঘুম ভাঙাতে প্রয়োজন পড়ে ২-৩টি অ্যালার্মের। তবে অ্যালার্মটাই ভরসা, কোনও কারণে সেই অ্যালার্ম না বাজলেই ঘুম ভাঙতে দেরি। ব্যস! তাহলে সারাদিন সব কাজেই দেরি। তবে যাদের ঘুম ভাঙতে কোনও অ্যালার্ম ঘড়ির প্রয়োজন হয় না। কাউকে এসে ডেকতেও হয় না। নিজে থেকেই সকালবেলা যাদের ঘুম ভেঙে যায়, তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। সাম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আমেরিকার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, নাম ‘ইচ নাইট’। এরা দীর্ঘদিন ঘুম নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় এমন কিছু মানুষের উপর যাদের সকালবেলা নিজে থেকেই ঘুম ভেঙে যায়। এটা কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নয়, সংস্থাটি তাদের হাতে আসা তথ্যগুলিকেই তুলে ধরেছে। এবার জেনে নেওয়া যাক কেন তাদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলা চলে।
১। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই ধরনের মানুষের খিদে হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এরা পুষ্টিযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করেন। ফলে সহজেই শরীর ভালো থাকে।
২। সমীক্ষা জানা গিয়েছে, এই ধরনের মানুষের সারাদিন মন ভালো এবং ফুরফুরে থাকে। সমীক্ষায় দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সকালে যে ব্যক্তির ঘুম নিজে থেকেই ভাঙে তাদের মধ্যে ৮০% মানুষের সারাদিন মন ভালো থাকতে দেখা গিয়েছে।
৩। ‘ইচ নাইট’ থেকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে যে, সব কর্মীরা সকালবেলা কোনও অ্যালার্ম ক্লক বা মোবাইল ফোনের অ্যালার্মের সাহায্য ছাড়াই ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারেন। তাদের কর্মক্ষমতার পরিমাণ অনেক বেশি।
৪। জানা গিয়েছে, বিনা কোনও অ্যালার্মে ঘুম ভাঙা ব্যক্তিদের ক্লান্তিও অন্যদের তুলনায় অনেক কম হয়। সারাটাদিন এরা অনেক চনমনে এবং প্রাণোচ্ছল থাকেন। আর রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়েও পড়েন। আবার সকালে নির্দিষ্ট সময় মতো উঠেও পড়তে পারেন।
ছবি – পিক্সাবে